দোয়ারাবাজারের সেবিনা ইয়াছমিনের সংবাদ সম্মেলন

ভূমি খেকো চক্রের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

post-title

ছবি সংগৃহীত

ভূমি খেকো চক্রের ষড়যন্ত্রে হয়রানীর শিকার দোয়ারাবাজার উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আবুল খায়েরের স্ত্রী সেবিনা ইয়াছমিন।

তিনি জানান, ষড়যন্ত্রকারীরা ২০২১ সাল থেকে তার পিছু নিয়েছে। এর নেপথ্যে আগে আওয়ামী লীগ পরিচয়ধারীরা কাজ করলেও এখন তার পেছনে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বিএনপি পরিচয়ধারীদের। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে সেবিনা ইয়াছমিন জানান, ২০০৮ সালে তিনিসহ আমার ভাই বোনদের নামে বাড়ির পাশ্ববর্তী বাজিতপুর মৌজার সাড়ে ১৬ শতক জমি ক্রয় করেন। এরপর থেকে সেই জমি ভোগ দখল করে আসলে হঠাৎ করে এরুয়াখাই গ্রামেরর আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি উড়ে এসে জুড়ে বসতে চায়। টাকা দাবী করে বসে এবং এক পর্যায়ে ভূয়া কাগজ দেখিয়ে মাঠ পর্চা তৈরী করে এই জমিতে তার অংশ আছে দাবি করে। এ প্রেক্ষিতে আবুল কাশেমের পর্চা জাল দাবি করে সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই’র প্রতিবেদনে আবুল কাশেমের কাগজ জাল জালিয়াতির বিষয়টি উঠে আসে।

আদালত তার দাবিকৃকৃত পর্চাটি জব্দ করেন। কিন্তু জালিয়াত আবুল কাশেম বসে না থেকে ভূমি অফিসের কিছু অসৎ ব্যক্তির সহযোগিতায় মাটপর্চা দেখিয়ে এসএ খতিয়ানের ১৬৬ নং দাগের ভূমি তার নামে হালনাগাদ করে নেয় ও জাল একটি দলিল কাবালা রেজিস্ট্রি করে নেয়। পিবিআই’র তদন্তে ভূয়া-জাল প্রমাণিত হওয়া এবং তার পর্চা জব্দ করার পরও কি করে এসএ খতিয়ানে সে তার নাম তালিকাভূক্ত করে তা আমাদের বোধগম্য হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, আমবাড়ি বাজারের গোপালপুর ও দোহালিয়া পনাইল মৌজার দুই ব্যক্তির নামে করা দলিল দিয়ে এই জালিয়াতি কান্ড ঘটায় আবুল কাশেম। এরপর একের পর এক মামলা হামলা করতে থাকে আবুল কাশেম ও তার লোকজন। গুরুদাস দে, ইমন উদ্দিন, কমলা দে নামের আওয়ামী লীগ দলীয় লোকজন দিয়ে সে আমাদের উপর হামলা করায় জমির দখল নেয়ার উদ্দেশ্যে।  তাদের বিরুদ্ধে আদালতে আমাদের দায়েরকৃত একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।

গত ৫ আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের লেবাসধারীরা পিছু হটলেও এখন হাবিব, আব্দুল বারী, নাজিম উদ্দিনসহ বিএনপি ঘরানার কিছু দখলদার নিয়ে কাশেম আমাদের জমি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত। আবুল কাশেম মুরাদপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে আমাদের জমি তার দাবী করে রক্ষনাবেক্ষনের জন্য একটি কাগজ করে দেয়। সেই সূত্রে হাবিব আমাদের কাছে এসে চাঁদা দাবী করে। এসিল্যান্ড, থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা মামলা- অভিযোগ দাখিল করে। হাবিবের মামলাটি থানার ওসি ও এসআই আাতিয়ার কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই আমাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছেন।

সেবিনা ইয়াসমিন আরো বলেন, আমাদের মতো নিরীহ লোকদের হয়রানী করতে একেক সময় একেক  গোষ্ঠী উটে পড়ে লেগেছে। অভিযোগ করেন সম্প্রতি কাশেম ও হাবিবচক্র আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের দখলবাজি, চাঁদাবাজি, হয়রানীতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। তাদের হয়রানী, নির্যাতন, এবং মিথ্যা মামলার কবল থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এসএ/সিলেট