ধোনির বুড়ো হাড়ের ভেলকি!
জয়ের জন্য ৩০ বলে ৫৬ রান দরকার ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। হাতে ৫ উইকেট। বিজয় শঙ্কর ১৫তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার পর ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।...
ছবি সংগৃহীত
বিপিএলের ১১তম আসরে দুর্দান্ত ফর্মে আছে রংপুর রাইডার্স। ঢাকায় হ্যাটট্রিক জয়ের পর সিলেট পর্বেও দাপট দেখিয়েছে দলটি। সোমবার (৬ জানুয়ারি) স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান আরও শক্ত করেছে রংপুর।
সিলেটের ২০৬ রানের বড় লক্ষ্য মাত্র ১৯ ওভারে পেরিয়ে যায় রংপুর। ইংলিশ তারকা অ্যালেক্স হেলসের বিধ্বংসী ১১৩ রানের অপরাজিত ইনিংস দলের জয় নিশ্চিত করে।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় রংপুর। মাত্র ৫ বলে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন আজিজুল হক। তবে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সাইফ হাসান এবং ওপেনার অ্যালেক্স হেলস দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে চাপ সামলে নেন।
পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান তুলে রানের ভিত গড়ে দেন এই জুটি। ৩১ বলে ফিফটি করেন সাইফ। তবে ৪৯ রানে ৮০ রান করে আউট হন তিনি। অন্যদিকে, হেলস ৫৪ বলে বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এরপর টানা দুই ছক্কায় রংপুরকে ৬ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ৫৬ বলে ১১৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৯টি ছক্কা। সিলেটের হয়ে তানজিম সাকিব দুটি উইকেট নেন।
এর আগে রংপুরের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২০৫ রান করে সিলেট। ফিফটি করেছেন দলটির স্থানীয় ব্যাটার রনি তালুকদার ও জাকির হাসান। সিলেট টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৫ ওভারে ৪৭ রান পায়। জর্জ মানসে ১২ বলে ১৮ করে ফিরে যান। এরপর রনি ও জাকির ৪১ রান যোগ করেন।
রনি তালুকদার ফিরে যান ৩২ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। জাতীয় দলে দুর্দান্ত কামব্যাক করে আবার বাইরে চলে যাওয়া ডানহাতি এই ওপেনার সাতটি চার ও তিনটি ছক্কার শট খেলেন। জাকির ৩৮ বলে ৫০ রান করেন। তিনি চারটি ছক্কা হাঁকান। ইনিংসে ছিল না কোন চারের শট।
শেষটায় যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলে খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার অ্যারন জোনস ১৯ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। চারটি ছক্কার সঙ্গে একটি চার আসে তার ব্যাট থেকে। অপেক্ষাকৃত সিলেটের ছোট বাউন্ডারিতে ৫ বলে তিনটি ছয়ের শটে ২০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দারুণ খেলা জাকের আলী।
রংপুর রাইডার্সের নাহিদ রানা ও পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার আকিফরা এদিন খরুচে ছিলেন। নাহিদ ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন। আকিফ ৪ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। শেখ মাহেদী ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ১ উইকেট দখল করেন।
এসএ/সিলেট