যমুনা নদীতে নির্মিত রেলসেতু-স্টেশনের নাম বদলে যাচ্ছে

post-title

ছবি সংগৃহীত

যমুনা নদীতে নির্মিত রেলসেতু ও রেলওয়ে পূর্ব স্টেশন এবং পশ্চিম রেলস্টেশনের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামাঙ্কিত এ সেতুর নাম হবে ‘যমুনা রেলসেতু’। এছাড়াও রেলওয়ে পূর্ব স্টেশনের নাম হবে ফয়েদাবাদ ও পশ্চিম স্টেশনের নাম রাখা হবে ইব্রাহিমাবাদ।

রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন প্রকল্প প‌রিচালক বঙ্গবন্ধু রেল সেতু এবং রে‌লও‌য়ের অতি‌রিক্ত মহাপ‌রিচালক (অবকাঠা‌মো) আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান। তিনি জানান, যমুনা নদীতে নির্মিত রেলসেতুসহ পূর্ব ও পশ্চিম স্টেশনের নাম পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুশাসন এসেছে। যাচাই-বাছাই করে রেলওয়ে অধিদপ্তর বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নাম ‘যমুনা রেলসেতু’ ও রেলওয়ে পূর্ব স্টেশনের ফয়েদাবাদ ও পশ্চিম স্টেশনের নাম ইব্রাহিমাবাদ নাম প্রস্তাব করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তারা তার চূড়ান্ত করে অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করলে নাম পরিবর্তন হবে।

প্রকল্প প‌রিচালক আরও বলেন, এখন এটি যমুনা রেলসেতু নামেই উদ্বোধন করা হবে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে এই রেলসেতু উদ্বোধন করা হতে পারে। সেইভাবেই কাজ চলছে।

এর আগে গত শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম রেল সেতু পরিদর্শন করেন। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, স্ব-স্ব এলাকার জায়গার নামেই বিভিন্ন স্থাপনার নাম দিতে আগ্রহী তারা। যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত রেলওয়ে সেতুটির ক্ষেত্রেও তা–ই হতে পারে।

রেলওয়ের তথ্যমতে, বিগত সরকার ২০২০ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা এবং জাপানের জাইকা ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা অর্থায়ন করে।

রেলের তথ্যমতে, বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকসহ প্রায় ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার এই রেলসেতুতে ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন ছুটতে পারবে। তবে শুরুতে (উদ্বোধনের এক বছর) ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে। সেতু পার হতে সাড়ে তিন থেকে চার মিনিট লাগবে।

যমুনার পুরোনো সেতু দিয়ে বর্তমানে দিনে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। সেতুটি চালু হলে ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পাবেন রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলা এবং খুলনা বিভাগের ১০ জেলার যাত্রীরা।


এসএ/সিলেট