নগরীতে আইনজীবির বাসায় চুরি
সিলেট মহানগরের সুবিদবাজার এলাকার লন্ডনি রোডে এক কর আইনজীবীর বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কেউ বাসায় না থাকার সুযোগে এক বা একাধিক...
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে মোবাইল চার্জ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে শনিবার রাতে কয়েক টানা সংঘর্ষের পর রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ফের রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
সকাল থেকে উপজেলার থানা বাজার পয়েন্ট দুই গ্রামের মানুষ দেশীয় অস্ত্র হাতে সংঘবদ্ধ হয়ে সংঘর্ষে জড়ান। দফায় দফায় সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ ব্যর্থ হওয়ার পর বেলা দেড়টার দিকে সেনাবাহিনী ও র্যাব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
ফের দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা.কামরুজ্জামান রাসেল।
শনিবার বিকালে মোবাইলে চার্জ দেয়াকে কেন্দ্র করে বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। রাতের সংঘর্ষের পর রোববার সকাল ১১টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে দুটি পক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, শনিবার রাতে কোম্পানীগঞ্জে একটি দোকানে মোবাইল চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুজনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষ চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। এসময় বেশকিছু দোকান ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আহত হন অন্তত ৫০ জন। রাতে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ সূত্রে জানায়, রোববার সকালে ফের মাইকে ঘোষণা দিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর, বর্ণি ও কাঁঠালবাড়ী গ্রামের লোকজন একে অপরকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া দেয়। উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একইসঙ্গে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষে লিপ্ত হয় উভয়পক্ষ।
এতে আহত হন আরও অন্তত ২০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় এখন পর্যন্ত থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বেলা দেড়টার দিকে সিলেট থেকে সেনাবাহিনী ও র্যাব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। সেই সাথে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ২ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা.কামরুজ্জামান রাসেল।
এসএ/সিলেট