সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্তে ২ কোটি...
সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত থেকে আরও ২ কোটি টাকার চোরাই পণ্য, পশু, ফল ও মাছ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বাহিনীটির ৪৮ ব্যাটালিয়নের বিভিন্ন বিওপি’র...
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
মানব পাচারকারীর মিথ্যা অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় হয়রানির অভিযোগ করেছেন নগরীর আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা জগন্নাথপুরের কলকলিয়া ইউনিয়নের শ্রীধরপাশা গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র ইকবাল হোসেন। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, একই গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর পুত্র আবুল হক ও তার লিবিয়া প্রবাসী পুত্র আলী হোসেনের রোষানলে পড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন। কয়েকটি গণমাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। এতে পারিবারিক সম্মানহানীর পাশাপাশি তাদের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে। প্রকৃত পক্ষে তারা পিতা-পুত্র মানব পাচারের সাথে জড়িত বলে দাবি করেন ।
লিখিত বক্তব্যে ইকবাল হোসেন জানান, আবুল হক ও তার পুত্র ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর নামে এলাকার সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয় নিয়ে নিঃস্ব করেছেন। তারা লোকজনকে বিদেশে নিয়ে জিম্মি করে তাদের পরিবার পরিজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন। জিম্মিদের না খাইয়ে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছেন বলে তাদের হাত থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া কয়েকজন জানিয়েছেন। ২০২২ সালে শ্রীধরপাশার তরিকুল ইসলামের ছেলে একওয়ানকে লিবিয়ায় ১৯ লাখ টাকার দাবিতে জিম্মি করে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে আলী হোসেন। পরে সরকারী সহযোগিতায় তার লাশ দেশে আনা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আলীর বাবা আবুল হক ও তার মা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল হোসেন আরো জানান, আমাদের সাথে তাদের শত্রুতা অনেক পুরনো। ২০১৭ সালে মাদরাসার নাম পরিবর্তন নিয়ে তার চাচা ফয়সল মিয়ার সাথে একই গ্রামের জাভেদ আলম কোরেশী বিরোধ শুরু হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনার জের গুলিতে আহত নূর আলী নামে একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ৪২ জনকে আসামী করে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর জাবেদ ও তার লোকজন মামলা থেকে বাঁচতে এবং আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত ও মানসিক নির্যাতন করতে তার লোকজনকে দিয়ে একের পর এক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে দায়ের করে। ঘর পুড়ানোসহ আরো কয়েকটি কয়েকটি মামলা ইতোধ্যে আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই জাবেদ আলম ও তার লোকজনের প্ররোচনায় গত ২৭ নভেম্বর সিলেটের মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে ছেলে আলী হোসেনকে পাচারের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন আবুল হক। ওই মামলায় তার চাচা ফয়সলসহ আরো কয়েকজনকে আসামী করা হয়। যা সম্পূর্ণ কাল্পনিক অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে।
ওই মামলাবাজ চক্রের হাত থেকে বাঁচতে তিনি সরকারের উর্ধতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এসএ/সিলেট