কেমুসাসে হাতের লেখা এবং গান প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

post-title

ছবি সংগৃহীত

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন বলেছেন, শিশুরা জাতির ভবিষ্যত। তাদের মেধা বিকাশের সামগ্রিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বইয়ের সাথে তাদের সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের হাতের লেখা সুন্দর করা প্রয়োজন। এছাড়া যাদের সুললিত কণ্ঠ রয়েছে, তাদেরকেও কণ্ঠের অনুশীলন করতে হবে। এগুলো মননশীলতার বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে।

কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট-এর ১৬ দিনব্যাপী অষ্টাদশ বইমেলায় হাতের লেখা এবং গান প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংসদের কার্যকরী কমিটির সদস্য কবি কামাল তৈয়ব অ্যাডভোকেট-এর সভাপতিত্বে এবং বইমেলা উপকমিটির সদস্য সচিব কামরুল আলমের সঞ্চালনায় বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল তিনটায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংসদের সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর সিলেট ব্যুরো প্রধান গল্পকার সেলিম আউয়াল ও বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী শামসুল ইসলাম খান।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, বিশিষ্ট কবি ও গবেষক সৈয়দ কামাল আহমদ বাবু।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সংসদের কোষাধ্যক্ষ ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত। অনুষ্ঠানে কুরআন তেলাওয়াত করেন মোঃ জুনায়েদ ইসলাম। হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সংস্কৃতিকর্মী ওবায়দুল্লাহ আফজল ও শিশুসাহিত্যিক মিনহাজ ফয়সল।

গান প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কণ্ঠশিল্পী রাশেদুল হাসান রাসেল, কণ্ঠশিল্পী সুজাউল কবির শামীম ও কণ্ঠশিল্পী ওমর ফারুক। হাতের লেখা প্রতিযোগিতার ফলাফল নিম্নরূপ। ‘ক’ গ্রুপে প্রথম মোঃ জুনায়েদ ইসলাম, দ্বিতীয় আরিফা আহমদ এবং তৃতীয় ফাতিমা আকমল তানশীয়াত, ‘খ’ গ্রুপে প্রথম তাহিয়া রাবাব সাবাহ, দ্বিতীয় মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ এবং তৃতীয় শাকের সালেহ আব্দুল্লাহ। গান প্রতিযোগিতার ফলাফল নিম্নরূপ।

বিশেষ গ্রুপে প্রথম সৈয়দ রাফি আহমদ, দ্বিতীয় মুকাররমা জান্নাত চৌধুরী এবং তৃতীয় মামদুহা জান্নাত চৌধুরী। ‘ক’ গ্রুপে প্রথম মোঃ তালহা তিহান, দ্বিতীয় মরিয়ম রিদা। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম রিমাসা জাহান নুহা। ‘গ’ গ্রুপে প্রথম মাসহুদা আক্তার সায়মা, দ্বিতীয় তাওহিদুল ইসলাম এবং তৃতীয় ওলিউর রহমান। হাতের লেখা এবং গান প্রতিযোগিতায় সিলেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, অষ্টাদশ কেমুসাস বইমেলা সংসদের সাবেক সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ভাষাসৈনিক এ এইচ সা’দাত খানকে নিবেদিত করা হয়েছে।

বইমেলা চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত, প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা। বইমেলা উপলক্ষে সাহিত্য সংসদ গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় সাহিত্য আসর, ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টায় আবৃত্তি প্রতিযোগিতা (বিশেষ এবং ক গ্রুপ), সন্ধ্যা ৬টা থেকে আলোচনা সভা : ছড়াসাহিত্য, ছড়া পাঠের আসর, ৭ ডিসেম্বর শনিবার আবৃত্তি প্রতিযোগিতা (খ, গ ও বিশেষ গ্রুপ), সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রকাশনা অনুষ্ঠান, ৮ ডিসেম্বর রবিবার বিকাল ৩টায় ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতা (ক ও খ গ্রুপ), ৯ ডিসেম্বর সোমবার উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা (ক ও খ গ্রুপ), ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ক্বিরাত প্রতিযোগিতা (বিশেষ, ক ও খ গ্রুপ), ১১ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ‘লিটলম্যাগ আন্দোলন’ শীর্ষক আলোচনা সভা, ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় কেমুসাস সাহিত্য আসর, ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রকাশনা অনুষ্ঠান, ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, ১৫ ডিসেম্বর রবিবার বিকাল ৩টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, সমাপনী, পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।


এসএ/সিলেট