ভারতীয় ইসকন সদস্যদের বাধা

চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনে দু’ দিন ধরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

post-title

ছবি সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার শরীফপুর ইউনিয়নের চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি ও রপ্তানিসহ সকল বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

গত বুধবার রপ্তানির জন্য আসা ৬ ট্রাক মাছ খালাসের জন্য কৈলাশহর ঢুকতে দেয়নি প্রতিবাদীরা। ফলে ৬ ট্রাক মাছে ব্যবসায়ীদের ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে কোন মালবাহি গাড়ি চলাচল করতে পারেনি। বৃহস্পিতবার বিকেলে ভারতের কৈলাশহরের বিক্ষুব্ধ ইসকন সদস্যরা চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় দুইদেশের বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ও রুবেল মিয়া জানান, নিয়মিত রপ্তানির অংশ হিসেবে তারা ৬ ট্রাক বাংলাদেশি মাছ চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে নিয়ে আসেন। এখানে আসার পর ভারতীয় অংশে মনু স্থল শুল্ক স্টেশন এলাকায় ভারতীয় ইসকন সদস্য সমর্থকদের বিক্ষোভ দেখে শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ রেখে অপেক্ষা করা হয়।  সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারতীয় বিক্ষোভকারীরা অনড় থাকায় মাছের ট্রাক আবার খুলনায় পাঠানো হয়।

এতে ট্রাক প্রতি দেড় লক্ষাধিক টাকা করে ক্ষতি হয়। চাতলাপুর এলসি স্টেশনের ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি সোহেল রানা চৌধুরী জানান, গতকাল হঠাৎ করেই ভারতের দিকে ইসকন সদস্যরা চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের রাস্তা বন্ধ করে দেন। তারা বিক্ষোভ করে তাদের পতাকা বেঁধে দেন। এতে করে বাংলাদেশ থেকে মালবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। একইসাথে ভারত থেকেও কোন মালামাল আসছে না।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার প্রায় দেড় কোটি টাকার মালামাল আটকে যায়। ভারতে অনেক মাছসহ কাঁচা পণ্য পাঠানো হতো। কিন্তু হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়েছি।

চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান ভারতীয় ইসকনের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে গত দুই দিন ধরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন,‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এবং উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা ব্যবসার নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিত না হলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

সিলেট কাস্টমস বিভাগের উপ-কমিশনার মমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ প্রান্তে কোন সমস্যা না। ভারতের অংশের সমস্যাটা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।

এসএ/সিলেট