বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ ১১২ বছর বয়সে মারা গেলেন

post-title

ছবি সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ জন আলফ্রেড টিনিসউড মারা গেছেন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) ১১২ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যের সাউথপোর্টের একটি কেয়ার হোমে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তার শেষ দিনটি ছিল ‘সংগীত ও ভালোবাসায় ঘেরা’। খবর বিবিসির।

২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে, ১১৪ বছর বয়সি জুয়ান ভিসেন্তে পেরেজ মোরার মৃত্যুর পর আলফ্রেড টিনিসউড গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ হিসেবে স্বীকৃতি পান। আলফ্রেড ১৯১২ সালের ২৬ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন, একই বছর যে সময় টাইটানিক ডুবে যায়।

লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের ভক্ত জন লিভারপুলের ৬৬টি শীর্ষস্থানীয় ট্রফি জয়ের মধ্যে প্রথম দুটি (১৯০১ এবং ১৯০৬ সালের লিগ শিরোপা) বাদে সবগুলোই দেখেছেন।

আলফ্রেড দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আর্মি পে কর্পসে প্রশাসনিক দায়িত্বে ছিলেন, যেখানে তিনি আটকে পড়া সৈন্যদের খুঁজে বের করা এবং খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তিনি শেল এবং ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামে একজন হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন এবং ১৯৭২ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

টিনিসউড ১৯৪২ সালে তার স্ত্রী ব্লডওয়েনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের মেয়ে সুসান ১৯৪৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে তার স্ত্রীর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একসঙ্গে ৪৪ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন।

প্রতি শুক্রবারে একবার 'ফিশ অ্যান্ড চিপস' [জনপ্রিয় ব্রিটিশ খাবার] খাওয়া ছাড়া কোনো বিশেষ নিয়ম মেনে চলতেন না বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন তিনি।

তিনি বলেন,  যা দেওয়া হয় তা-ই খাই, সবাই যেমন খায়। আমার কোনো বিশেষ খাদ্যাভ্যাস নেই।

২০১২ সালে ১০০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর রাজপরিবার থেকে জন্মদিনের কার্ড পেয়ে এসেছেন আলফ্রেড। প্রথমে প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে, যিনি তার চেয়ে প্রায় ১৪ বছরের ছোট ছিলেন এবং এখন রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে জন্মদিনের কার্ড পেয়েছিলেন।

বিশ্বের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দিন বয়স্ক জীবিত পুরুষ ছিলেন জাপানের জিরোয়েমন কিমুরা, যিনি ১১৬ বছর ৫৪ দিন বেঁচে ছিলেন এবং ২০১৩ সালে মারা যান।

এসএ/সিলেট