সিলেটে বিজিবির অভিযানে দেড়...
সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)'র অভিযানে দেড় কোটি টাকার চোরাই মালামাল জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার...
আদালতে ঘাতকের স্বীকারোক্তি
কানাইঘাটে আইসক্রিম বিক্রেতা আব্দুর রহমান লাল মিয়া (৩৯) হত্যাকান্ডের ঘাতক রুবেল আহমদ (৩৬) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার ভোর রাতে গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী হাদারকান্দি বেরিবিল এলাকার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি অলক কান্তি শর্মা, থানার ওসি আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ষাড়াসী অভিযান চালিয়ে রুবেল আহমদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত রুবেল আহমদ কানাইঘাট পৌরসভার ধর্মপুর গ্রামের নজিমুল হকের পুত্র।
থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল জানিয়েছেন, আইসক্রিম বিক্রেতা আব্দুর রহমান ওরফে লাল মিয়াকে রুবেল আহমদ নিজে হত্যা করেছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। রুবেল আহমদ জানিয়েছে, আইসক্রিম বিক্রেতা লাল মিয়ার সাথে ২০১৮ সাল থেকে তার বন্ধুত্ব রয়েছে। সেই সুবাদে রুবেল আহমদের নিকট থেকে লাল মিয়া বেশ কিছু টাকা ধার নেয়। ধার নেয়া টাকা লাল মিয়ার কাছে রুবেল ফেরত চাইলে গত ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে লাল মিয়া রুবেল আহমদকে তার ভাড়াটিয়া দোকানে ডেকে নেয়। তখন লাল মিয়া টাকা ফেরত দিবে বলে তাকে বলাৎকার করে। বলাৎকারের পর রুবেলকে পরদিন টাকা দিবে বলে জানায়।
লাল মিয়ার কথামতো পরদিন বুধবার রাত দেড়টার দিকে ভাড়াটিয়া দোকানে আসলে লাল সাটার খুলে ভিতরে ঢুকিয়ে সাটারে তালা লাগিয়ে দেয় আবারো জোরপূর্বক ভাবে রুবেলকে বলাৎকার করে। রুবেল আহমদ তার স্বীকারোক্তি জবানবন্দীতে আরো বলে, তাকে বলাৎকার করার পর লাল মিয়া ক্লান্ত হয়ে খাটের উপরে বিছানায় শুয়ে পড়লে তখন সে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানের ভিতর থাকা লোহার পাইপ সদৃশ্য বস্তু দিয়ে মাথায় দু’টি ও অন্ডকোষে ১টি আঘাত করলে লাল মিয়া মারা যায়। পরে সে দোকানের সাটারে বাইরে দিকে তালা দিয়ে চলে যায়।
আইসক্রিম বিক্রেতা লাল মিয়ার লাশ গত শুক্রবার সকালে থানা পুলিশ দোকানের ভিতর থেকে উদ্ধার করে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় লাল মিয়ার মামাতো ভাই উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের লখাইরগ্রাম (বাগবাড়ি) গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র আহসান উল্লাহ বতাই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে গত শুক্রবার কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
লাশ উদ্ধারের পর থেকে থানা পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় লাল মিয়ার হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আটক করতে অভিযানে নামে। কললিস্ট তুলে সন্দেহভাজন হিসেবে রুবেল আহমদের ছোট ভাইসহ কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর লাল মিয়ার খুনি হিসেবে রুবেল আহমদকে চিহ্নিত করে পুলিশ। পরে পালিয়ে থাকা অবস্থায় গোয়াইঘাট উপজেলার হাদারকান্দি বেরিবিল গ্রাম থেকে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এসএ/সিলেট