ফুলকুঁড়ি’র শিশু সমাবেশে রেজাই রাফিন সরকার

পাশবিক সত্তাকে অবদমিত করে মানবিক শিক্ষাকে বিকশিত করাটাই মূল শিক্ষা

post-title

ছবি সংগৃহীত

জাতীয় শিশুকিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসর  সিলেট মহানগরীর সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে শিশু  সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার  (২৩ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ'র শহীদ সোলেমান অডিটরিয়ামে  ফুলকুঁড়ি আসর সিলেট মহানগরীর পরিচালক ডা. রাজু আহমেদ'র ব্যবস্থাপনায়  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন  উপদেষ্টা সহ সভাপতি মুকতাবিস উন নূর।

ফুলকুঁড়ি আসর সিলেট মহানগরীর সহকারী পরিচালক আলি ফারহান আহমদ মাহি ও অগ্রপথিক তাহমিদ আল মাহাদী'র যৌথ  সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আসরের  প্রধান পরিচালক সাইফুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সিলেটের ডাকের অতিথি সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন ও কেন্দ্রীয় আসরের কিশোর থিয়েটার পরিচালক মোজাম্মেল হক।

প্রধান অতিথি মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, আমরা শিক্ষা বলতে বুঝি, কোনো রকমে পুঁথিগত সিলেবাস মুখস্ত করে ভালো ফলাফল করা। অভিভাবকরা  ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রশাসক, ব্যবসায়ী বানাতে চান। অথচ আগে ভালো মানুষ রূপে গড়ে তোলা প্রয়োজন। এই নৈতিক শিক্ষা দিতে না পারার কারণে অনেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রকৃত মানুষ হতে পারেনি। মানুষের মধ্যে মানবিক ও পাশবিক স্বত্তা রয়েছে। পাশবিক সত্তাকে অবদমিত করে মানবিক শিক্ষাকে বিকশিত করাটাই হলো মূল শিক্ষা।’

অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার চেষ্টা করতে হবে। সৎ ও নৈতিক গুনাবলী বিকশিত করে পরিপূর্ণ আদর্শ মানুষ রূপে গড়ে তুলতে হবে।’

অনুষ্ঠানে কুঁড়িদের গান, কবিতাসহ বিভিন্ন অনবদ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মুখরিত এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয় সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিভিন্ন শাখা আয়োজিত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে। এতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১০০ জনকে পুরষ্কৃত  করা হয়।

এসএ/সিলেট