শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস

post-title

ছবি সংগৃহীত

শীতের আভাস প্রকৃতিতে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে এসেছে। এরই মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের উপকূলে এর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা।

লঘুচাপের কিছুটা প্রভাবে তাপমাত্রা  কমলেও এই মাসে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক।

শুক্রবার তিনি বলেন, সাধারণত নভেম্বর মাসে শৈত্যপ্রবাহের নজির নেই। তবে তাপমাত্রা ইতিমধ্যে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। এটা আরেকটু কমতে পারে। কিন্তু এ মাসের বাকি দিনগুলোতে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই বললেই চলে।

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যদি ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তখন তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আর যদি তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে, তবে তা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয় তখনই, যখন তাপমাত্রা থাকে ৪ দশমিক ১ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আর তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে হয় অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এবার শীতের তীব্রতা খানিকটা বেশি হতে পারে। শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামীকাল শনিবারের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, এই লঘুচাপের প্রভাব সাধারণত শ্রীলঙ্কার উপকূলে পড়ে। বাংলাদেশের উপকূলে এর প্রভাব তেমনটা অনুভূত হয় না। তবে দূরবর্তী প্রভাব পড়তে পারে। তবে সেই প্রভাব এখনো বোঝা যাবে না।


এসএ/সিলেট