সিলেট চেম্বারে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে...
সিলেটের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন সিলেট চেম্বার অব কমার্সে আওয়ামী স্বৈরাচারের মদদপুষ্ট পরিষদ বাতিল করে প্রতিনিধিত্বশীল পরিচালনা পর্যদ গঠনের দাবি...
খুনিকে গ্রেফতারে পুলিশের চিরুনী অভিযান
সিলেটের কানাইঘাট বাজারে গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে প্রকাশ্যে দিবালোকে নির্মম ভাবে ধারালো ক্ষুরের আঘাতে নিহত পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মুমিনের হত্যাকারী তার ঘনিষ্ট বন্ধু রাজু আহমদকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ।
তবে হত্যাকারী রাজুকে গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক দল বিভিন্ন এলাকায় চিরুনী অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল জানিয়েছেনে। এদিকে ময়না তদন্তের পর নিহত আব্দুল মুমিনের লাশ তার বাড়িতে নিয়ে আসলে আত্মীয়-স্বজনদের কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
স্বজনরা ঘাতক রাজুকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করেন। মঙ্গলবার বেলা আড়াই টায় নিহত আব্দুল মুমিনের নিজ গ্রাম ধনপুর জামে মসজিদ মাঠে তার নামাজে জানাযা শেষে মহল্লার কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজার নামাজে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম সহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি এবং জামাতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে একটি প্রসাধনী কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি কানাইঘাট পৌরসভার ধনপুর গ্রামের তাজ উদ্দিন ছেলে ছাত্রদল নেতা আব্দুল মুমিনের সাথে কানাইঘাট বাজারস্থ মসজিদ মার্কেটের মোবাইল ব্যবসায়ী পার্শ্ববর্তী দুর্লভপুর গ্রামের মৃত জায়ফর আলীর ছেলে যুবদল কর্মী রাজুর ঘনিষ্ট বন্ধুত্ব ছিল। তারা দু’জন একই দলের কর্মী হলেও দুইজন দুই গ্রুপের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। গ্রুপ রাজনীতি নিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের একটি গ্রুপ অপর গ্রুপকে দোষারোপ করে কানাইঘাট বাজারে মিছিল করে। তবে এ হত্যাকান্ড রাজনৈতিক নয় বলে দাবী করছেন নিহতের মামা মাষ্টার হারুন রশিদ সহ বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মীরা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে রাজু আহমদের সাথে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির সাথে সম্পর্ক থাকা অবস্থায় রাজুর বিয়ে অন্য একটি জায়গায় ঠিক করা হয়। যে বিয়েটি আগামী শুক্রবার হবার কথা ছিল। রাজুর বিয়ের কথা শুনে প্রেমের সর্ম্পক থাকা মেয়েটি রাজুর ঘনিষ্ট বন্ধু আব্দুল মুমিনের সাথে বিষয়টি শেয়ার করে এবং আব্দুল মুমিনকে মেয়েটি তার সর্ম্পকের একাধিক তথ্য প্রদান করে। এতে আব্দুল মুমিন তার বন্ধু রাজুকে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করে। এরই জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে একাধিক সূত্র থেকে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ছাত্রদল নেতা আব্দুল মুমিন হত্যাকারী রাজু আহমদকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন। কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল জানিয়েছেন আসামী গ্রেফতারে চিরুনী অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এসএ/সিলেট