ইতালিতে সড়ক দুর্ঘটনায় হবিগঞ্জের...
পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরানোর আশায় লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে স্বপ্নের দেশ ইতালিতে যায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের মিল্লিক গ্রামের টগবগে তরুণ...
পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরানোর আশায় লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে স্বপ্নের দেশ ইতালিতে যায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের মিল্লিক গ্রামের টগবগে তরুণ মিসফাউর রহমান নাঈম (২২)।
পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরানোর আগেই ইতালিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় নাঈমের। পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরানোর স্বপ্ন অধরা রেখেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন নাঈম। তার মৃত্যুতে পরিবার আত্মীস্বজনসহ বন্ধুমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাঈমের লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে নাঈমের পরিবার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাঈমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহত নাঈমের স্বজনরা। এর আগে রবিবার (১০ নভেম্বর) ইতালির স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে ট্রাইসেস স্পেসিয়া প্রাদেশিক সড়কে এক দুর্ঘটনায় নাঈমের মৃত্যু হয়।
জানা যায়, ওই সময় নাঈম স্কুটারযোগে কাজে যাচ্ছিলো। ট্রাইসেস স্পেসিয়া প্রাদেশিক সড়ক লুকুগনানো ক্রীড়া মাঠের কাছে পৌছামাত্র একটি কারের ধাক্কায় একটি বাইসাইকেল ও স্কুটার আরোহী নাঈমসহ দুই বাংলাদেশী তরুণ ছিটকে পড়েন।
মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মিসপাউর রহমান নাঈম (২২) মৃত্যুবরণ করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় অপর যুবককে ট্রাইকেস পানিকো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাৎক্ষণিক ঘাতক গাড়ি চালককে আটক করে তার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
নাঈমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার চাচা মশিউর রহমান টিটু জানান, প্রায় ৪ মাস আগে নাঈম ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌছায়। ইতালিতে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় সে মারা গেছে। সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি আমার ভাতিজার লাশ যাতে বাড়িতে এনে দাফন করতে পারি। দুই ভাইয়ের মধ্যে নাঈম সবার ছোট। পরিবারকে ভালো রাখার জন্য গিয়েছিল ইতালি।
এসএ/সিলেট