উইন্ডিজ সফরে পারফরম্যান্স নিয়ে দুশ্চিন্তা

post-title

ছবি সংগৃহীত

সাদা চোখে দেখে যে কেউ বলে দিতে পারে বাংলাদেশ দল এখন ভালো খেলছে না। টেস্ট, ওয়ানডে, টি২০– কোথাও প্রভাব ফেলার মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখাতে পারছে না। ফলে একের পর এক হতাশার গল্প লেখা হচ্ছে দেশের ক্রিকেটে। ব্যর্থতার সর্বশেষ সংযোজন আফগানিস্তানের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হার। যার নেতিবাচক প্রভাব ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দেখা যেতে পারে।

হানিমুন পিরিয়ড শেষ হওয়ায় কোচ ফিল সিমন্সও বুঝে গেছেন বাংলাদেশ দলের সক্ষমতার দৌড় কতটা। তাই তিনি বলেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর সহজ হবে না।’ কোচের এ বক্তব্য নিজেকে নিরাপদ জায়গায় রাখার কৌশল। এ রকম একটি নড়বড়ে দলের কোচের এ রকম কৌশল নেওয়া ছাড়া উপায়ও নেই।

বাংলাদেশ কেন নড়বড়ে দল, তা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। যে দল এক সিরিজ ভালো করলে পরের চার-পাঁচ সিরিজ ব্যর্থতায় ডুবে থাকে, সেই দলকে কেউ ভালো বলবে না। পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করার পরের সিরিজেই ভারতের কাছে নাকাল হয়েছেন শান্তরা। টেস্ট, টি২০– কোথাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেননি।

দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ হেরেছেন বাজেভাবে। হারানো মনোবল ফিরে পাওয়ার দারুণ একটি মঞ্চ ছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে। সেখানেও ব্যর্থ হওয়ার পর আশার আলো দেখছেন না জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার।

তিনি বলেন, ‘আমরা ভালো করতে পারছি না। আমাদের আত্মবিশ্বাস কমে গেছে। শঙ্কার জায়গা এটাই। এই একটি ফরম্যাটে আমরা অনেকটা ধারাবাহিক ছিলাম। সেটা না হওয়া অবশ্যই চিন্তার কথা।’

মিস্টার ফিফটি’খ্যাত সাবেক এ ব্যাটার সমস্যা দেখছেন স্পিন বিভাগেও, ‘ব্যাটিংটা চিন্তার জায়গা। টপঅর্ডার ভালো করছে না। টপঅর্ডার রান না করলে বড় স্কোর করা কঠিন। আরেকটি জিনিস লক্ষ্য করছি– আমরা পাওয়ার প্লেতে উইকেট পেলেও মাঝে উইকেট নিতে পারছি না। নাসুম আহমেদ ভালো বোলিং করছে, ইকোনমি খুবই ভালো। কিন্তু উইকেট নিতে পারছে না। এই জায়গায় উইকেট নেওয়া দরকার।’ উইন্ডিজ সফরে এসব ক্ষত সারাতে না পারলে ভোগান্তির শেষ থাকবে না।

মেহেদী হাসান মিরাজরা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান সাইকেলের শেষ সিরিজটি খেলবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। যেখানে কোচ সেরা দল খেলাতে পারছেন না। মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্তর মতো গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যাটার চোটের কারণে টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন। তাদের বদলি হিসেবে যাদের নেওয়া হয়েছে, তারা অনভিজ্ঞ।

শাহাদাত হোসেন দীপু, মাহিদুল ইসলাম অংকনকে দিয়ে দলের কোটা পূরণ করা গেলেও শক্তিশালী করা যায়নি। তবে মুশফিক, শান্তদের না থাকা তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য বড় সুযোগও। ভালো খেলতে পারলে জাতীয় দলে স্থায়ী হওয়ার পথ খুলে যাবে।


এসএ/সিলেট