বালু-পাথর লুটপাট রোধে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন: বিভাগীয় কমিশনার

post-title

ছবি সংগৃহীত

সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন নদীতে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধে অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছনরাজা মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন এ সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী।

সভায় যাদুকাটা, ধোপাজান চলতি নদীসহ জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি নদীতে বালু-পাথর লুট, পাড় কেটে পরিবেশের বিপর্যয় রোধে মতামত তুলে ধরেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, পরিবশেবাদী আন্দোলন, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও বারকি শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
অংশীজনের বক্তব্য শোনার পর বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বালু-পাথারখেকোরা হচ্ছে ভয়ংকর, এদেরকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে।

বালু-পাথর হচ্ছে আমাদের  জাতীয় সম্পদ। এগুলো যারা লুট করে তারা শক্তিশালী এবং ভয়ংকর। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে। ভূমিখেকো, বালু-পাথরখেকো, পাহাড়খোকোদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে না পারলে তাদের দমন করা যাবে না।

তিনি বলেন, বালু-পাথর মহালে প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারে না। যে কারণে লুণ্ঠন রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার আ ন ম আনোয়ার হোসেন, বিজিবির ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল একেএম জাকারিয়া কাদির, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেরেনূর আলী, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, আব্দুল্লাহ আল গালিব, স্থানীয় সংগঠক এনডি উসমান গণী, জিহান জুবায়ের, বেলার প্রতিনিধি শাহ শাহেদা  আক্তার, সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি আবু নাছের, সহ-সভাপতি শওকত হোসেন, বারকি শ্রমিক সভাপতি নাছির মিয়া, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি ছদরুল আলম সাইফুল, জামায়ত নেতা সিরাজুল হক ওলী, সাংবাদিক পংকজ কান্তি দে, শ্রমিক নেতা মো. আব্দুর রশিদ, শাহেদ মিয়া, শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, ৬১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড এই কমান্ড মেজর মহিউদ্দিন ফারুকী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাব্বির আহমদ আখঞ্জী।


এসএ/সিলেট