ছুটির দিনে বেশি ঘুমান?
সারা সপ্তাহের কাজের পর বেশির ভাগ মানুষই ছুটির দিনে কিছুটা আলসেমি করতে চান। অনেকে হয়তো ‘ঘুমিয়ে’ই কাটিয়ে দেন সারাদিন। যদিও এই ঘুম কারও কাছে অতি জরুরি, কারও কাছে...
চায়ের কাপে চুমুক না দিলে সকালই শুরু হয় না। ঘুমও কাটে না। পরিবার-সহকর্মী-বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাও চা ছাড়া জমে না। কারো কাছে চা হলো মন খারাপের ওষুধের মতো। আবার কারো কাছে চা নেশার মতো।
সারাদিনে ৫-৬ কাপ চা না পান করলে মন ভরে না। তাই তারা দিনে একবারই চা বানিয়ে নেন। তার পর সেটি বার বার ফুটিয়ে গরম করে পান করেন। বার বার চা গরম করে বা ফুটিয়ে খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই ভালো নয়। এমনটাই মনে করেন পুষ্টিবিদরা। বানানো চা বার বার ফুটিয়ে পান করলে একাধিক রোগ হতে পারে।
যে কারণে চা বার বার ফুটিয়ে পান করা উচিত নয়:
অ্যাসিডিটি ও পেটের সমস্যা
একবারের বেশি চা গরম করলে তা অ্যাসিডিক হয়ে ওঠে। এতে যদি দুধ মেশানো থাকে, তাহলে আরও ক্ষতিকর হয়ে যায়। বার বার গরম করা চা পান করলেই অম্বলের সমস্যা দেখা দেয়। বার বার চা গরম করে পান করলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স, বুক জ্বালা, পেটের অস্বস্তি বাড়তেই থাকবে। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা একেবারেই পিছু ছাড়বে না।
আয়রনের ঘাটতি
চা বার বার গরম করে পান করলে দেহে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। চা পাতায় ট্যানিনের মতো যৌগ রয়েছে, যা পানীয়তে রঙ ও স্বাদ এনে দেয়। যখনই আপনি চা বার বার গরম করেন, এই ট্যানিনের ঘনত্ব বেড়ে যায়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই উচ্চ পরিমাণে ট্যানিন দেহে আয়রন শোষণে বাধা তৈরি করে। এটি দেহে প্রায় ৩০-৪০% আয়রন শোষণ কমিয়ে দেয়। এতে দেহে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
ডিহাইড্রেশন
চায়ে ক্যাফেইন রয়েছে। এর যেমন ভালো দিক রয়েছে, তেমনই ক্ষতিকারক প্রভাবও আছে। যখনই আপনি চা বার বার গরম করছেন, এই ক্যাফেইনের ঘনত্বও পানীয়তে বাড়বে। দেহে ক্যাফেইনের পরিমাণ বেড়ে গেলে প্রস্রাবের পরিমাণও বাড়বে। এতে দেহে তরলের ঘাটতি তৈরি হতে পারে।
চা পানের সঠিক উপায়
বার বার চা ফুটিয়ে পানের অভ্যাস বাদ দিন। যখনই চায়ের নেশা হবে, তখন তাজা বানিয়ে নিন। চেষ্টা করুন দুধ ছাড়া চা বানানোর। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ক্যামোমাইল টি, জবা ফুলের চা, গ্রিন টি ইত্যাদি পান করেন। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। ভেষজ ও অর্গানিক চা পানে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়বে, স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
এসএ/সিলেট