সিলেটে ছাত্রলীগের সহসভাপতি গ্রেফতার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সিলেটে ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে...
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে অপসারণের পর এবার তার নিয়োগকৃত ৪৪ কর্মচারীকে ছাটাই করা হয়েছে। মেয়রের সরাসরি নিয়োগে সিসিকের বিভিন্ন সেকশনে মাস্টাররোলে কর্মরত ছিলেন তারা।
গত বুধবার (২১ আগস্ট) তাদেরকে ছাটাই করা হয়। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমদ চৌধুরী এই তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গত বছরের ২১ জুন পঞ্চমবারের মতো সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। গত বছরের ৭ নভেম্বরে তিনি মেয়র পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর থেকেই সিসিকের বিভিন্ন সেকশনে মেয়র তার অনুগত লোকদের বসিয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এরপর থেকে তার নিয়োগ দেওয়া বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিষ্কিয় ছিলেন।
সরকার পতনের পরই গুঞ্জন উঠে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নিয়োগ দেয়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছাটাই করা হবে। এই গুঞ্জন কিছুটা সত্য হয় এই ৪৪ কর্মচারী ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে।
সিসিক সূত্রে জানা যায়, যে ৪৪জন কর্মচারী ছাটাই করা হয়েছে তারা মাস্টাররোলের মাসের বেতন মাসে পেয়েছেন। এই কর্মচারীরা আবেদন করে চাকুরিতে যোগ দিলেও ৫ আগস্টের পর মেয়র আত্মগোপনে থাকায় তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফাইল অনুমোদন হয়নি। তাই তাদেরকে ছাটাই করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, যে ৪৪ জন কর্মচারীকে বাদ দেওয়া হয়েছে তারা সিসিকের বিভিন্ন সেকশনে মাস্টাররোলে কর্মরত ছিলেন। মাস্টাররোল কোনো চাকরি না। এটা অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয় প্রশাসনিক কাজের স্বার্থে। যখন লাগে না তখন আমরা বাদ দিয়ে দিই। তারা একমাস কাজ করেছিলেন। একমাসের বেতন নিয়েছেন। আর এই বিষয়গুলো সরাসরি মেয়র দেখেন। যেহেতু মেয়র সাহেবের পদ নেই তাই তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফাইল অনুমোদন হয়নি। তাই তাদেরকে আমরা বলেছি আর কাজ কন্টিনিউ করার দরকার নেই।
এসএ/সিলেট