সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বাস-অটোরিকশা...
সুনামগঞ্জ সদরে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজনের প্রাণ গেছে; এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন।শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় সদর উপজেলা ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার মাঝামাঝি...
ছবি সংগৃহীত
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দ্বিতীয়বারের মতো সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এরইমধ্যে ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার গ্রামীণ সড়ক, ঘরবাড়ি ও ফসিল জমি।
সেইসঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন পাঁচ উপজেলার বাসিন্দারা। সেইসঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দুই লক্ষাধিক মানুষ।
এমনকি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে পৌর শহরের কাজীর পয়েন্ট, উত্তর আরপিননগর, নতুন পাড়া, হাসননগরসহ বেশ কিছু এলাকা। সেইসঙ্গে জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে তাহিরপুর উপজেলা।
দোয়ারাবাজার উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে সুরমা, লক্ষ্মীপুর ও বাংলাবাজারসহ তিন ইউনিয়নের। এক মাসের ব্যবধানে দুইবার সুনামগঞ্জ বন্যা কবলিত হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই অঞ্চলের মানুষেরা।
ভুক্তভোগীরা বলেন, কয়েকদিন আগে একদফা বন্যা হয়ে গেলেও এখন আবারো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আমাদের অবস্থা নাজেহাল হয়ে গেছে।
তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দারা জানান, বন্যার পানিতে আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। প্রতিনিয়ত পানি বাড়ছে। এরইমধ্যে সড়ক ডুবে গেছে। ঘরবাড়িতে পানি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি কমলে নদীর পানি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত গণমাধ্যমকে বলেন, রাতভর নিজে উপস্থিত থেকে পৌর শহরের যে এলাকায় পানি ওঠে সেখানকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিষ্কার করেছি। যাতে পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, বন্যা মোকাবিলায় আমাদের সকল প্রস্তুতি নেওয়া আছে।
এসএ/সিলেট