সাত মাস ধরে মমতাজ কোথায়...
গানে গানে মমতাজ বেগমের জীবন চার দশকের বেশি সময়ের। লোকগানে তিনি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পী বেশ কয়েক বছর ধরে রাজনীতিতেও সক্রিয়। সংরক্ষিত...
ফাইল ছবি
ইয়ামিন হক ববি, চিত্রনায়িকা। ঈদে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ছবি ‘ময়ূরাক্ষী’। রাশিদ পলাশ পরিচালিত সিনেমাটিতে নয়নতারা নামে একজন চিত্রনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমাটির নানা প্রসঙ্গ ও সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে...
ঈদের সিনেমা ময়ূরাক্ষী নিয়ে দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
সিনেমার গল্পটি সুন্দর ছিল; যারা দেখছেন তাদের অনেকেই সিনেমাটি নেগেটিভ পজেটিভ মিলিয়ে কথা বলেছেন। প্রশংসা যেমন পেয়েছি, পেয়েছি হতাশাজনক অভিব্যক্তিও। সে বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না। শুধু বলব, সিনেমাটি আরও ভালো হতে পারতো।
সিনেমায় আপনার অভিনীত চরিত্রের ব্যাপ্তি নিয়ে নাকি আপনি হতাশ?
শুধু আমি নই দর্শকরাও হতাশ। অনেক দর্শকই বলেছেন, আমার চরিত্রটির আরও ব্যাপ্তির প্রয়োজন ছিল। এটা তো একজন সিনেমার নায়িকার গল্প নিয়ে বানানো সিনেমা। অথচ সেই নায়িকার চরিত্রটিই ঠিকঠাক ফুটিয়ে তোলা হয়নি। গল্পটা যাঁকে নিয়ে, তাঁকে যদি পর্দায় এস্টাবলিশ না করেন, তাহলে এর সার্থকতা কোথায়। সেটা করতে পারলে সিনেমাটি আরও ভালো হতো। দর্শকরা তৃপ্তি নিয়ে হল থেকে বের হতে পারতেন।
বিষয়টি নিয়ে এখন আপনি কথা বলছেন। সিনেমার যখন ডাবিংয় করলেন। সেই সময় তো দেখেছিলেন আপনার চরিত্রের ব্যাপ্তি...তখন বলেননি কেন?
ডাবিংয়ের সময়ে এক রকম ছিল। তখন যেসব দৃশ্য রাখা হয়েছিল, মুক্তির পর দেখলাম তার অনেকগুলোই নেই। ভালো ভালো অনেক দৃশ্য নির্মাতা বাদ দিয়েছেন। সেগুলো বাদ না দিলে সিনেমাটি আরও ভালো হতো। ডাবিংয়ে যতটা দেখেছিলাম, ততটাও নেই সিনেমায়। অনেক ভালো ভালো সিকোয়েন্স বাদ দেওয়া হয়েছে। তারপরও সিনেমাটি যে খারাপ হয়েছে, তা বলছি না আমি। ভালোর তো শেষ নেই। সিকোয়েন্সগুলো রাখলে আরও বেশি ভালো হতো। যেহেতু এটা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির গল্প, তাই অনেক কিছু মিসিং থাকলে দর্শকের বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা। গল্পটা খাপছাড়া হয়ে যায়। গানগুলোও পুরো রাখা হয়নি। কেটে কেটে অর্ধেক দেখানো হয়েছে, যার কোনো মানে হয় না। এডিটিংয়ে আরও জোর দিতে পারতেন।
সিনেমাটি তো একজন চিত্রনায়িকার জীবনী নিয়ে। সেই নায়িকার চরিত্রটি করতে কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল আপনার জন্য?
যে কোনো সত্য ঘটনা পর্দায় সঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলা অনেক চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ। আর মানুষ যদি সে গল্পটি জেনে থাকে তাহলে আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। ‘ময়ূরাক্ষী’ যে ঘটনা নিয়ে বানানো হয়েছে, সে ঘটনা কমবেশি সবাই অবগত। তাই চরিত্রটি পর্দায় বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা ভীষণ কঠিন ছিল আমার জন্য। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, মানুষ যেন আমাকে নয়নতারা হিসেবে বিশ্বাস করে। তাই, এই সিনেমার শুটিংয়ের সময় অন্য কোনো সিনেমার শুটিং করিনি। চরিত্রটির মধ্যেই ডুবে ছিলাম। আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। এখন বাকিটা দর্শকরাই বলছেন।
নতুন কোনো কাজের খবর আছে কি?
অনেকগুলো প্রজেক্ট নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। এখন চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে শিগগিরই নতুন কিছুর খবর দেব।
এসএ/সিলেট