হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি : ঝুঁকিতে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড

post-title

ছবি সংগৃহীত

পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টির ফলে হবিগঞ্জে বন্যার পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে যাচ্ছে।কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে বন্যার পানি প্রবেশ করছে।

কিছু স্থানে বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানি বৃদ্ধি পেলে কুশিয়ারা নদীঘেঁষা বিবিয়ানা বিদ্যুৎ পাওয়ার প্ল্যান্ট ও বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডে পানি প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের সুনামগঞ্জ, জগন্নাথপুর, আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়ক ডুবে দ্রুতগতিতে পানি প্রবেশ করছে কসবা গ্রাম, কসবা বাজারসহ কয়েকটি গ্রামে। দীঘলবাক ইউনিয়নের রাধাপুর, ফাদুল্লাহ, দুর্গাপুর, মথুরাপুর, হোসেনপুর, মাধবপুর, পশ্চিম মাধবপুর, গালিমপুর, আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহাড়পুর, পারকুল, উমরপুর, দীঘর ব্রাহ্মণগ্রাম, বড় ভাকৈর (পশ্চিম) ইউনিয়নের সোনাপুর, চরগাঁওসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বড় ভাকৈর (পূর্ব), ইনাতগঞ্জের উমরপুর, মোস্তফাপুর, দক্ষিণগ্রাম, পাঠানহাটি, মনসুরপুর, দরবেশপুর, দিঘীরপাড়, নোয়াগাঁও, চন্ডিপুর, প্রজা, লামলীপাড়, আউশকান্দির বনগাঁও, পারকুল গ্রাম পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় ভয়াবহ আকার ধারণ করছে বন্যা; মানবেতর জীবনযাপন করছেন সাধারণ মানুষ।  পানিবন্দী মানুষজন ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়স্থলে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে, ইনাতগঞ্জের মোস্তফাপুর পাঠানহাটি গ্রামের পাকা সড়ক, দীঘলবাক গ্রামের পাকা সড়কসহ ১৫-২০টি পাকা সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ইনাতগঞ্জ অবস্থিত এশিয়া মহাদেশের অন্যতম গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা ও পারকুলে অবস্থিত কুশিয়ারা নদী ঘেঁষা বিবিয়ানা ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে। বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র হতে ২-৩ হাত নিচে বর্তমানে পানি রয়েছে। তবে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্যাসক্ষেত্রে পানি প্রবেশের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপম দাশ অনুপ গণমাধ্যমকে বলেন, বন্যা আক্রান্ত হয়ে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন। ইতোমধ্যে ১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

এসএ/সিলেট