ওসমানীতে জব্দ হওয়া স্বর্ণের...
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অভিনব পন্থায় দুবাই থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা স্বর্ণের চালান জব্দ করেছে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও...
ফাইল ছবি
পাহাড়ি ঢল ও বন্যার কারণে বন্ধ ঘোষনার এক সপ্তাহ পর খুলেছে সিলেটের সবকটি পর্যটনকেন্দ্রের দুয়ার। শর্ত সাপেক্ষে শুক্রবার থেকে দর্শনার্থীদের জন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দিয়েছে। শর্তগুলোর অন্যতম হচ্ছে পর্যটনকেন্দ্রে কোন পর্যটক নৌকায় চড়তে হলে তাকে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পড়তে হবে।
সারাদেশের পর্যটকদের কাছে সিলেটের জাফলং, মায়াবীঝর্ণা, রাতারগুল, বিছনাকান্দি, পাংথুমাই, সাদাপাথর ও লালাখাল অতি পরিচিত। নদীকে ঘিরেই এসব পর্যটনকেন্দ্র গড়ে ওঠেছে। প্রতিদিন এসব পর্যটনকেন্দ্রে হাজার হাজার দর্শকের সমাগম ঘটে। কিন্তু আকস্মিক বন্যা ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৩০ মে প্রশাসন সিলেটের সবকটি পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা ও দর্শনার্থী সমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢল বন্ধ হওয়ায় এবং নদীর পানি কমায় শুক্রবার থেকে সিলেটের সবকটি পর্যটনকেন্দ্র খুলে দিয়ে সরকারি আদেশ জারি করেছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। তবে পর্যটনকেন্দ্রে বেড়ানো সংক্রান্ত যে শর্তগুলো প্রশাসন জুড়ে দিয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- পর্যটকদের লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে নৌকায় তুলতে হবে, পর্যটকরা পানিতে নামতে কিংবা সাঁতার কাটতে পারবেন না। পর্যটকরা নৌকায় উঠে হৈ-হুল্লোড় করতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পর্যটকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং পর্যটন কেন্দ্রসমূহ পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিছানাকান্দি, সাদা পাথর, রাতারগুল ও লালাখাল বন্ধ থাকবে।
এসএ/সিলেট