নগরী থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন...
নগরী থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের পদবীধারী এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম অয়ন দাশ। অয়ন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি বলে...
ছবি সংগৃহীত
দেশের উপকূলে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সোমবার রাত থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা। যা মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার এবং খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে সিলেট নগরসহ পুরো বিভাগজুড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় সাড়ে তিন লাখ গ্রাহক সোমবার রাত থেকে বিদ্যুৎহীন রয়েছেন।
তবে মঙ্গলবার দুপুরে বৃষ্টি থামার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কও ব্যাহত হচ্ছে। নেটওয়ার্ক না থাকায় জরুরি প্রয়োজনেও মোবাইলেও কল করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন গ্রাহকরা।
পল্লীবিদ্যুৎ ও পিডিবি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার দিনভর সিলেটে গুঁড়ি গুঁড়ি ও মাঝারি ধরণের বৃষ্টিপাত হয়। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত। এতে ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। তাছাড়া ঝড়-তুফানে গাছপালা ভেঙে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা-বাড়িতে পানির সংকট দেখা দেয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন মানুষজন। অবশ্য মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নগরীর সবকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়। তবে বিভিন্ন উপজেলা বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে সিলেট বিভাগে গ্রাহক আছেন প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। এর মধ্যে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ গ্রাহক। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হওয়া ঝড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের তার ও খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো মেরামতের চেষ্টা চলছে।
মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, মঙ্গলবার সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের গ্রাহকদের চাহিদা ছিল ১৯৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে বিদ্যুতের সরবরাহ ছিল ৭৫ মেগাওয়াট।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিনঘন্টায় ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এর আগে সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ২৪৯ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে নগরের অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ারও খবর পাওয়া গেছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নিম্নচাপ সিলেটে অবস্থান করছিল। এ কারণে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল। তবে দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি কমেছে।
এসএ/সিলেট