সর্বজনীন পেনশন স্কিম দক্ষিণ এশিয়ায় রোল মডেল হিসেবে পরিচিত হবে: বিভাগীয় কমিশনার

post-title

ছবি সংগৃহীত

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি বলেছেন, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, প্রবাসী ও সাধারণ জনগণের জন্য সর্বজনীন পেনশন সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। সরকারের এ কার্যক্রম দক্ষিণ এশিয়াসহ অনেক দেশেই রোল মডেল হিসেবে পরিচিত হবে। সমাজের প্রতিটি জনগণকে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতাভুক্ত করতে এবং জনগণের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া জরুরি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে জেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের আয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সহায়তা কেন্দ্র উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বকতৃতায় তিনি একথা বলেন।

জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপপরিচালক মহের উদ্দিন সেখ।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত করতে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী কর্মসূচির সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে এ সর্বজনীন পেনশন স্কিম। 

সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে জনগণ একটি নির্দিষ্ট সময় টাকা জমানোর পর পেনশনের আওতাভুক্ত হবেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে আজীবন পেনশন প্রদান করা হবে। এছাড়াও পেনশন ভোগকারীর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার- এ পেনশনের উত্তরাধিকারী হবেন। এজন্য প্রতিটি নাগরিকের নিজের ও পরিবারের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এ  স্কিমের অন্তর্ভুক্ত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে সেবা প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা এ সেবা কেন্দ্র থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সকল সেবা ও তথ্য জানতে পারবেন। বর্তমানে সিলেট জেলার প্রায় চার হাজার মানুষ এ সর্বজনীন পেনশন স্কিমের রেজিস্ট্রেশন করেছে। শীঘ্রই এ হার অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে। আপনারা নিজেরা সেবা ও তথ্য নেওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরকেও এ কার্যক্রমের আওতাভুক্ত হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন। 


এসএ/সিলেট