মানসম্পন্ন খাদ্য উৎপাদন করে দেশের...
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেছেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দিন দিন আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমলেও জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিন...
ছবি সংগৃহিত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) গভীর রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে দাবি করে এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে গতকাল শুক্রবার উত্তাল ছিল বুয়েট ক্যাম্পাস।
শিক্ষার্থীদের দাবি, আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও গত বুধবার মধ্যরাতের পর বহিরাগত কিছু নেতা–কর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালান।
এর প্রতিবাদে পাঁচ দফা দাবিতে গতকাল বেলা আড়াইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত টানা বিক্ষোভ শেষে আজ শনিবার আবারও বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের ভাষ্য, বুধবার মধ্যরাতের পর ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগতদের’ প্রবেশ ও রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ইমতিয়াজ হোসেন; যিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তাই তাঁকে বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও তাঁর হলের সিট বাতিলসহ তাঁর সহযোগীদেরও বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
এ ছাড়া ‘বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তিরা’ কেন কীভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার অনুমতি পেলেন, সে ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের সুস্পষ্ট জবাব, ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) পদত্যাগ এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনোরকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের নেতারা প্রায়ই বুয়েট ক্যাম্পাসে আসেন এবং রাতে ক্যাফেটেরিয়ার সামনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালান। বুধবার মধ্যরাতের পর মোটরসাইকেলযোগে বেশ কজন নেতা–কর্মী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছেন—এমন একটি ভিডিও শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচার পায়। বহিরাগত নেতা–কর্মীদের বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন এক দল শিক্ষার্থী। বিকেল নাগাদ জমায়েত বড় হয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাসে।
এরপর বিকেলে বুয়েট শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। তাঁরা দাবি আদায়ে শনিবার ও রোববারের (৩০ ও ৩১ মার্চ) পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেন।
-প্রথম আলো
SI/04/300324