জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে ২২ সশস্ত্র জলদস্যু

post-title

ছবি সংগৃহীত


জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ সোমালিয়ার উপকূল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ সময় জাহাজে আরও সশস্ত্র জলদস্যু উঠেছে।শনিবার (১৬ মার্চ) বিকালে জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিডেটের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, নতুন করে জাহাজে আরও জলদস্যু ওঠায় বর্তমান পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। তবে জলস্যুদের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত মুক্তিপণ দাবি করা হয়নি।

মেহেরুল করিম আরও বলেন, জাহাজাটি সোমলিয়া উপকূল থেকে ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করলেও শুক্রবার বিকালে অবস্থান বদল করে। বর্তমানে এটি ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে। জাহাজটিতে আরও নতুন করে ১৩ জন সশস্ত্র জলদস্যু উঠেছে। বর্তমানে জাহাজটিতে ২২ জন জলদস্যু অবস্থান করছে।

এর আগে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জাহাজটির চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খান এক ই-মেইল বার্তায় জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূল গারাকাতে নোঙর করা হয়েছিল। একদিন বিরতির পর আবার চলতে শুরু করেছে ‘এমভি আবদুল্লাহ’। শুক্রবার সকালে জলদস্যুদের নির্দেশে নোঙর তুলে ফেলা হয়েছে। এরপর জলদস্যুরা জাহাজটি চালাতে নির্দেশ দেয়।

এদিকে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র ওপর নজর রাখছে একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ। বাংলাদেশি জাহাজকে সহায়তা করতে কাছাকাছি এলাকায় ভারতীয় যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি একটি দূরপাল্লার সামুদ্রিক টহল উড়োজাহাজও অবস্থান নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিং মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। পরে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, সোমালিয়ার জলদস্যুরা এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নেয়। জাহাজটিতে ২৩ নাবিক রয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। 

এসএ/সিলেট