Search all
  • Search all
  • Articles
  • Authors
  • Tags
Search all
  • Search all
  • Articles
  • Authors
  • Tags

অভিযোগের তীর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দিকে

সিলেটে যে কারণে খুন হলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নেতা শিহাব

post-title

ছবি: সংগৃহীত

সিলেটর কানাইঘাটে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নেতা শিহাব উদ্দিনকে (৩৮) খুন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের খালোপার গ্রামে আশিকের সমিল সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিহাব বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ৯ নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ছিলেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের খালোপার গ্রামে তার বাড়ি।

এঘটনার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগকে দায়ী করা হচ্ছে। নিহত শিহাব উদ্দিনের বড় ভাই মাসুক উদ্দিন জানান, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে। খুনিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত জানতে চাইলে তিনি বলেন, লুৎফর, জামাল, শহিদ ও শিব্বির। তারা একই গ্রামের বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন।

এদিকে শিহাব উদ্দিন খুন হওয়ার পর বেশ কয়েকটি কারণ সামনে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের হাতে জামায়াত নেতা হাফিজ শিহাব উদ্দিন খুন হয়েছেন। স্থানীয় আরেকটি সূত্র জানায়, সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে সেনাবাহিনীর কঠোর নজরদারী থাকার কারণে চোরাকারবারিরা রুট পরিবর্তন করে এখন গাজী বুরহান উদ্দিন সড়ক ব্যবহার করে। সেনাবাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত থেকে সোজা গাজী বুরহান উদ্দিন সড়ক দিয়ে চোরাচালান সিলেট নগরীতে পৌঁছায়। এই সুযোগে রাজাগঞ্জ এলাকার একটি চক্র চোরাচালান বহনকারী গাড়ি থেকে চাঁদা নিয়মিত আদায় করতো। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতেন শিহাব উদ্দিন।এ নিয়ে চোরাকারবারি ও চাঁদাবাজদের সাথে মনোমালিন্য ছিল।

এছাড়া তিনি বালু ও ইটের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। ঘটনার দিন রাত অনুমান ৯টার দিকে রাজাগঞ্জ বাজারস্থ রুপালি ব্যাংকের পাশে একটি বিকাশের দোকান থেকে ব্যবাসায়িক কাজের জন্য ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এরপর তিনি নিজের ব্যবসার ইট বোঝাই গাড়িতে করে খালপার স'মিলের পাশে যান। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে তিনি মোবাইলফোনে কথা বলছিলেন। এসময় পরিকল্পিতভাবে ৩ থেকে ৪ জন দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেল যোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরপর স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর বিকাশে উত্তোলনের ৫০ হাজার টাকাও আলোচনায় এসেছে।

শিহাব উদ্দিন ২ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তানের জনক ছিলেন। শিহাব উদ্দিন খুনের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রকৃত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান এলাকাবাসী।

এদিকে, কানাইঘাট উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. ফয়সল আহমদ দাবি করেছেন, নিহতের ওপর হামলাকারীরা এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তিনি দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল বলেন, শিহাব উদ্দিন খুনের সংবাদ পেয়ে আমরা রাতেই এলাকায় গিয়েছি। তিনি বলেন,ব্যবসা ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে এ খুন হতে পারে বলে আমরা প্রাথমিক জানতে পেরেছি, আরো অধিক তদন্ত করলে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি ও আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।



নিজস্ব প্রতিবেদক