Search all
  • Search all
  • Articles
  • Authors
  • Tags
Search all
  • Search all
  • Articles
  • Authors
  • Tags

হবিগঞ্জে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় প্রবাসীর ফাঁসির আদেশ

post-title

ছবি সংগৃহীত

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় পাওনা টাকা ও পারিবারিক বিরোধের জেরধরে ভাবী ও ভাতিজিসহ তিনজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন (৫০) নামে এক ব্যক্তির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদন্ডের আদেশপ্রাপ্ত শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন মাধবপুর উপজেলার বীরসিংহপাড়ার মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল। পরে তাকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। আদালতের স্টেনোগ্রাফার মুখলেছুর রহমান জানান, ভাবী ও ভাতিজিসহ তিনজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় বিচারক তাকে মৃত্যুদন্ড ও তিন লাখ টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন।

নিহতরা হলেন, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত শাহ আলমের ভাবী ও বীরসিংহপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা খাতুন (৪৫), মেয়ে শারমিন আক্তার (২৩) ও তাদের প্রতিবেশী আব্দুল আলীমের ছেলে শিমুল মিয়া (২৫)।

মামলা সূত্র জানায়, পাওনা টাকা ও পারিবারিক বিরোধের জেরে শাহ আলম ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় জাহানারা ও শারমিনকে তাদের ঘরে প্রবেশ করে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আহতদের চিৎকারে শিমুল এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে জাহানারা খাতুন ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং বাকী দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সময় নিহতের স্বামী দুবাই প্রবাসে ছিলেন বিধায় তার ভগ্নিপতি হাজী মো. মোহন মিয়া একমাত্র আসামী শাহ আলমের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে কারগারে প্রেরণ করেন।

এদিকে, আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন জানান, তিনি গ্রীস প্রবাসে থাকার সময় জাহানারাকে কয়েক দফায় টাকা পাঠান, এছাড়াও পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওযার ক্ষোভে দেশে ফিরে হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন।

এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর মাধবপুর থানা পুলিশ আদালতে অভিযোপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর ধরে বিচার চলাকালে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত রায় দিয়েছেন।

নিহত জাহানারা খাতুনের স্বামী গিয়াস উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমি আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি। এখন রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী জানাই। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আফজাল হোসেনও রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এ রায় দ্রুত বাস্তবায়ন হলে লোকজন এমন অপরাধ করতে ভয় পাবে।

এসএ/সিলেট