সিলেটে বস্তাবন্দি কাটা পা, মেলেনি...
সিলেটে বস্তাবন্দি একটি কাটা পা নিয়ে ঘুম হারাম এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের। গত ২৪ ঘণ্টায়ও মেলেনি পায়ের রহস্য। কার পা, কিভাবে এলো এসব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ...
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় পৃথক স্থানে গুলিতে ৫ জন নিহত হয়েছেন। অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে মাঠে নামেন আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা। সময়ের সঙ্গে বিপুল লোক সমাগম হয়।
এরপর তাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ চলে দিনভর। এতে সাংবাদিকসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার ধারাবহরে উপজেলা হাসপাতালের সামনে দুইজন ও এর আগে ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় একজন নিহত হন।
৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালের আরএমও ডা. শাহিন আহমদ। নিহতরা হলেন— গোলাপগঞ্জ উপজেলার ধারাবহর গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন (৪০), উপজেলার শিলঘাটের বাসিন্দা সানি আহমদ (১৮) ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম, গোচ মিয়া (৪০), মিনহাজ উদ্দিন (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্র ও পুলিশ জানায়, দুপুরে গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে ছাত্র—জনতা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সেখানে বিজিবিও উপস্থিত ছিল। একপর্যায়ে পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ শুরু হয়। বিভিন্ন মসজিদে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীও সংঘর্ষে জড়িত হন।
প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ছাত্র-জনতা ও এলাকাবাসী পুলিশ-বিজিবির দিকে ইট-পাটকেল ছুড়ে এবং পুলিশ-বিজিবি গুলি, টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ ও বিজিবি চলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধসহ আহতদের উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ৫ জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এসএ/সিলেট