হবিগঞ্জে ত্রিমুখী সংঘর্ষে যুবক নিহত

post-title

ছবি সংগৃহীত

হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ বিএনপি ও আন্দোলনকারি শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় রিপন শীল (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাইম আশরাফ চৌধুরী।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে অন্তত শতাধিক। নিহত রিপন শীল হবিগঞ্জ শহরের অনন্তপুর এলাকার রতন শীলের পুত্র। এছাড়াও অন্যান্য আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আবু জাহিরের বাসভবন।

আগুন দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। রোববার দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত শহরের থানার মোড় থেকে কালীবাড়ি ক্রসরোড এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

জানা যায়- পুর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রোববার সকাল থেকে বেলা একটা পর্যন্ত শহরের বৃন্দাবন কলেজ রোড প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে সেখানো জড়ো হয় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। পরে তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে যোগ দেয় বিএনপি ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা।

মিছিল সহকারে তারা শহরের প্রধান সড়কে দিয়ে আসতে থাকেন। পথিমধ্যে হবিগঞ্জ সদর থানা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারিরা। পরে শহরের টাউন হল সড়কে অবস্থান নেয়া আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিএনপি ও আন্দোলনকারিরা। সংঘর্ষ হয় টানা কয়েক ঘন্টা। এতে গুলিবিদ্ধ ও টেটাবিদ্ব হয় (বল্লম) অন্তত শতাধিক লোকজন।

সংঘর্ষের সময় পুরো শহরজুড়ে সৃষ্টি হয় আতঙ্ক। দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে গিয়েও আহত হন অনেক পথচারি। বন্ধ থাকে পুরো শহরের দোকানপাট।

এদিকে, জেলার মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর এলাকায় পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও মাধবপুর পৌরশহরে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের। এতে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) নূরে আলম জানান- সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহতের খবর শুনেছি।

এসএ/সিলেট