জৈন্তাপুরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা:...
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পরিচালিত স্টোন ক্রাশার ও বালু ধৌতকরণ মেশিনের বিরুদ্ধে এক বিশেষ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে প্রশাসন।...
সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ
ছবি সংগৃহীত
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের ছনুপাড়া গ্রামে জায়গা ক্রয় করে হয়রানির শিকার এক প্রবাসীর পরিবার। এতে মদদ দিচ্ছেন স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা। রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কুয়েত প্রবাসী তুরন মিয়ার স্ত্রী মমতা বেগম আলী।
লিখিত বক্তব্যে মমতা বেগম আলী বলেন, তার প্রতিবেশী ও আত্মীয় ফারুক মিয়ার কাছ থেকে ২০১৯ সালে ৩ শতক জায়গা তার প্রবাসী স্বামী ক্রয় করেন। পরে ফারুক গ্রিসে চলে যান। ২০২১ সালে গ্রিস থেকে আবার ফারুক তার বাড়ির আরও ৫ শতক জায়গা বিক্রির প্রস্তাব দেন। একই সময়ে ভাসুর ইরান মিয়ার কাছেও ৫ শতক জায়গা বিক্রির প্রস্তাব দেন ফারুক।
কিন্তু গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জায়গার দলিল সম্পাদনের দিন ভাসুর ইরান মিয়াকে দলিল করে দিলেও তার স্বামীর দলিল করে দেননি ফারুকের মা। অথচ ফারুক ও তার পরিবার জায়গার বিপরীতে ৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আগেই গ্রহন করেন। জায়গা বিক্রির টাকা পেয়ে গ্রিস থেকে ফ্রান্স চলে যান ফারুক।
মমতা বলেন, পরবর্তীতে দলিল করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করেনি তারা। উল্টো আদালতে হয়রানির অভিযোগে মামলা করেন ফারুকের মা নাজমা বেগম। ফারুকের পক্ষ হয়ে গত ২১ মে রাত সাড়ে ১২টার দিকে হামলা করেন ফারুকের মা, স্ত্রী ও গ্রামের জাহেদ মিয়াসহ কয়েকজন। এ ঘটনায় তিনি দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা করেছেন।
ফারুক শুধু তাদের সাথে নয়, এলাকার অনেকের সাথে জায়গা বিক্রির নামে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশ চলে যান বলে দাবি করেন মমতা। এক প্রশ্নের জবাবে মমতা জানান ফারুক বিদেশ থাকলেও তাকে মদদ দিচ্ছেন তার মামা মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ ও ছনুপাড়া গ্রামের জাহেদ মিয়াসহ কয়েকজন।
গুটি কয়েক ব্যক্তির কারণে তারা শিশু সন্তানদের নিয়ে নিরপত্তাহীনতায় ভোগছেন। জুনেদ প্রভাব দেখিয়ে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন। ফারুক বিদেশ থেকে টাকার বিনিময়ে দেশে তার লোকজনকে দিয়ে অপকর্ম করাচ্ছেন।
সম্প্রতি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ফারুকদের নানা প্রতারণার প্রেক্ষিতে বৈঠক করে একটি লিখিত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন উল্লেখ করে মমতা বলেন, তাতে ইউপি সদস্য শামসুল ইসলাম লিলন ও মহিলা সদস্য লিপি বেগম স্বাক্ষর করেছেন।
মমতা আশঙ্কা করছেন গ্রামের যারা সত্যের পক্ষে কথা বলছেন তাদের অনেককে ফারুক ও তার সহযোগীরা মিথ্যা মামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করতে পারে। প্রতারক পরিবার ও মদদদাতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় এমপি, রাজনীতিবিদ ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মমতা বেগম আলীর স্কুল পড়ুয়া ছেলে সাজ্জাদ হোসেন, ইখতেখার হোসেন, ভাসুরের স্ত্রী ইয়াসমিন সুলতানা ও তার ছেলে মুছাদ আহমদসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এসএ/সিলেট