দেশের জলসীমায় এমভি আবদুল্লাহ

post-title

ফাইল ছবি

২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর থেকে নানা শঙ্কায় ছিলেন জিম্মি নাবিকদের স্বজনরা। দীর্ঘদিন পর তাদের অপেক্ষার প্রহর ফুরাচ্ছে। আজ শনিবার বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে জাহাজটি।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত সমকালকে জানান, জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছেছে। আগামী সোমবার (১৩ মে) বিকেলে কুতুবদিয়া পৌঁছাবে জাহাজটি। সেখানে কিছু চুনাপাথর খালাস করে জাহাজটি ১৫ মে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করার পর জেটিতে আসবে এমভি আব্দুল্লাহ।

শাহরিয়ার জাহান রাহাত আরও জানান, গত ১২ মার্চ জাহাজটি ২৩ নাবিকসহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ৩২ দিন জিম্মি থাকার পর মুক্তিপণ নিয়ে ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় তারা। এরপর আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে জাহাজটি আরেকটি বন্দরে নতুন পণ্য বোঝাই করে। সেখান থেকে রওনা দেওয়ার পর শনিবার জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসেছে।

এর আগে কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সোমালিয়ার যে উপকূল থেকে নাবিকরা আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল, সেটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছিল। এজন্য আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। কাঁটাতারের বেস্টনিযুক্ত করেছি’।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কাঁটাতারের এই মজুদ জাহাজেই ছিলো। আমাদের সব জাহাজে এমন প্রস্তুতি থাকে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা অতিক্রমের সময় আমরা সেটা ব্যবহার করি।’

জাহাজটি দুবাই পৌঁছানোর পর সেটি চট্টগ্রাম নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, একই মালিকের জাহান মণি জাহাজও জলদস্যুর কবলে পড়ে ১৪ বছর আগে। দুর্ভাগ্যবশত একই ঘটনা ঘটল গত ১২ মার্চও। এবারও তাদের জাহাজ জলদস্যুরা আক্রমণ করে অস্ত্রের মুখে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয় জলদস্যুরা।

এসএ/সিলেট