নগরীর বালুচরে ফাহিম হত্যা :...
নগরীর বালুচরে কিশোর গ্যাংয়ের দু’পক্ষের বিরোধকে কেন্দ্র করে হামালায় ফাহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামীকে গ্রেপ্তার...
ছবি সংগৃহিত
সিলেটের সাথে উন্নয়নবঞ্চনা ও উন্নয়ন বৈষমের অভিযোগ এনে গণঅবস্থান কর্মসূচীর ডাক দিয়েছিলেন সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এতে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন নানা শ্রেণির মানুষ।
রোববার সকাল থেকে শুরু হয় হয় এ গণ-অবস্থান কর্মসূচী। প্রথমে সিটি পয়েন্টে এ কর্মূসূচী শুরু হলেও পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ফটক বন্ধ করে অবস্থা নেন বিক্ষোভকারীরা। বেলা পৌনে ৩ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী চলছিলো।
আরিফর হক চৌধুরী জানিয়েছেন, দাবি পুরণে সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পেলে এ কর্মসূচী চালিয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, সরকারের কিছু সংখ্যক আমলা চরম সিলেট বিদ্বেষী। তারা সিলেটের কোন উন্নয়ন প্রকল্প গেলেই আটকে দেন। তাদের বিরুদ্ধেই আমাদের আজকের এই অবস্থান। আমাদের দাবি একটাই- সিলেটের উন্নয়ন।
এ কর্মসূচীতে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনীতিবিদ ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়েছেন। সড়কেই দুপুরের নামাজ আদায় করেছেন তারা।
এরঅোগে এই কর্মসূচী সফলে শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর হজরত শাহজালাল (রহ.)–এর দরগাহ এলাকা থেকে মশালমিছিল শুরু হয়। পরে এটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগরের চৌহাট্টা এলাকার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। ‘সিলেট আন্দোলন’–এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে সিসিকের পানির গাড়ি দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়েছে।
এতে আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, উন্নয়ন বঞ্চিত সিলেট বরাবরই উপেক্ষিত। সরকার দেশের অন্য বিভাগে যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ দিয়ে আসছে সেই পরিমাণ সিলেটকে দেয়া হচ্ছে না। আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করার পরও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ কারণেই এবার গণ–অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। উন্নয়ন বৈষম্যের অবসান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আমরা সিলেটবাসীকে নিয়ে বিছানা নিয়ে সরকারি কর্তাব্যক্তিদের বাস ভবনের সামনে অবস্থান করবো। যাতে তারা বের হতে না পারেন।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন সিলেটের জন্য। এটা কোন লোক দেখানো আন্দোলন মনে করলে ভুল করবেন। সিলেটের উন্নয়ন বৈষম্য ও সরকারি প্রকল্পে অবহেলার প্রতিবাদেই এই অরাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে এখন সিলেটের মানুষের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনে নেমে এসেছে। এছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তাই দাবি আদায় না হওয়া আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। বক্তব্য শেষে তিনি উপস্থিত বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান নেয়ার জন্য তিনি অনুরোধ করেন।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর কুমারপাড়া এলাকার নিজ বাসভবনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন আরিফুল হক চৌধুরী। ওই সভা থেকে সিলেট অঞ্চলের ন্যায্য দাবি আদায়ে ‘সিলেট আন্দোলন’ নামে একটি সর্বজনীন প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়। এতে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিক, ধর্মীয় ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা যুক্ত হয়েছেন।
তারও আগে আরিফের ডাকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে একাধিক কর্মসূচি পালিত হয়।
এসএ/সিলেট