রশিদপুর কূপে গ্যাসের সন্ধান : দৈনিক মিলবে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

post-title

ফাইল ছবি

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ৩ নম্বর কূপে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে; যেখান থেকে দৈনিক আট মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) কূপটি সংস্কারের (ওয়ার্কওভার) সময় প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রবাহ ধরা পড়ে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স তার নিজস্ব রিগ দিয়ে কূপটি সংস্কারে সফল হয়েছে।

আগামী দশ বছর কূপটি থেকে দৈনিক আট মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের ডিজিএম সুমন বিকাশ দাশ।

ওয়ার্কওভার কাজে প্রায় ৭৩ কোটি টাকার মতো খরচ প্রাক্কলন করা হয়েছে। কূপটি থেকে গ্যাসের উপজাত কনডেনসেট পাওয়া যাবে। সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের আওতাধীন গ্যাস ফিল্ডগুলোতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

রশিদপুর-৩ এর পাশাপাশি কৈলাশটিলা-১ ও বিয়ানীবাজার-২ কূপের ওয়ার্কওভারের কাজ চলমান রয়েছে। রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের সবচেয়ে সুবিধার হচ্ছে, পাইপলাইন ও প্রসেস প্ল্যান্ট বিদ্যমান রয়েছে। গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে কূপটিতে অন্য কোনও জটিলতা নেই। এর আগে গত ১২ জুলাই পুরাতন এই কূপটিতে অনুসন্ধান শুরু করে বাপেক্স।

রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের ডিজিএম সুমন বিকাশ দাশ গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা এখনও কূপটি বুঝে পাইনি। আশা করছি আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বুঝে পাব। আশা করা যাচ্ছে কূপটি থেকে প্রতিদিন আট মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। তবে বিস্তারিত সব কাজ শেষ করে বলা যাবে।”

বর্তমানে রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ১১টি কূপের মধ্যে সাতটি কূপ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাপেক্স।


এসএ/সিলেট